ডলারের দাম বাড়লেও কমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ
করোনার প্রকোপ থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে সারা বিশ্ব। ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হলেও আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ। আর রপ্তানি খরচ বেড়েছে ৬০ শতাংশ। অন্যদিকে প্রবাসীদের আয় কমেছে ২২ শতাংশ। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫.৭৯ টাকা।
সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ডলারের দাম পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ২৩ সেপ্টেম্বর ডলারের দাম ছিল ৮৫.৩০ টাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর ৮৫.৩৫ টাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর ৮৫.৪৭ টাকা। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে ৬ অক্টোবর ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫.৫০ টাকায়। পরে ১৪ অক্টোবর ডলারের দাম হয় ৮৫.৬০ টাকা। ২৭ অক্টোবর ৮৫.৬৫ টাকা এবং ৩১ অক্টোবর ৮৫.৬৬ টাকা ছিল ডলারের দাম। চলতি নভেম্বর মাসেও ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ৪ নভেম্বর ডলারের দাম ৮৫.৭০ টাকা, ১০ নভেম্বর ৮৫.৭৫ টাকা ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫.৭৯ টাকা।
ডলার বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "পণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতি এত আসছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ, হঠাৎ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। ব্যাংকগুলো সীমার বেশি ডলার ধারণ করে দাম বাড়াচ্ছে কি না, তা–ও দেখতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ডলারের দাম মূলত আমদানি-সরবরাহের ওপর নির্ভর করবে। দাম ধরে না রেখে আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে ডলারের দাম সমন্বয় করতে হবে। আয় বাড়াতে দক্ষ জনবল পাঠানো ও প্রবাসী আয় আনা আরও সহজ করতে হবে।"
ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে দেশীয় বাজারে। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভোগ্যপণ্যের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকেই।
মতামত দিন