ই-কমার্সের অনিয়ম নিয়ে রিট: শুনানি ২৩ নভেম্বর
ই-কমার্সের অনিয়ম নিয়ে করা পৃথক তিনটি রিটের বিষয়ে যথাসময়ে প্রতিবেদন না পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির সময় এ তিন বিষয়ে প্রতিবেদন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
ওইদিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসি কী তাও জানাতে হবে আদালতকে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে কারিগরি কমিটি করেছে সে কমিটির কর্মপরিকল্পনা ও কার্যপরিধি লিখিতভাবে জানাতেও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এ সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, নোটিশ জারির পরেও তারা রেসপন্স না করলে আমরা টলারেট করব না। বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি নেব।
এর আগে দেশের ই-কমার্স খাতের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক তিনটি রিট করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ই-কমার্স খাত থেকে অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চান। এছাড়া ই-কর্মাস খাত থেকে কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো নীতি আছে কি না তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে কারিগরি কমিটি করেছে সে কমিটির কর্মপরিকল্পনা ও কার্যপরিধি জানতে চান হাইকোর্ট।
মতামত দিন