এখনও অস্বাভাবিক এশিয়ার সীমান্ত
ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়তে থাকলেও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো এখনো সীমান্তে কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এখনও জারি রয়েছে।
চীন, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ সব দেশেই বিধিনিষেধ রয়েছে।
এর মধ্যে চীন এবং হংকংয়ে প্রবেশ করলে দুই সপ্তাহ হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। তবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া মধ্যম পথ অবলম্বন করছে। এসব দেশে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার চেয়ে ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে এশিয়া। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এমন ভ্রমণকারীরা স্বাধীনভাবেই ভ্রমণ করতে পারছেন। যদিও কিছু দেশে করোনার নেগেটিভ ফলাফল না দেখাতে পারলে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের আইএসইএএস-ইউসোফ ইশাক ইন্সটিটিউটের শীর্ষ কর্মকর্তা জায়ান্ত মেনন বলেন, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা মতো এশিয়ার দেশগুলোকেও পুনরায় স্বাভাবিকভাবে সীমান্ত খোলার বিষয়ে আরও অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে।
ভ্যাকসিনের হার বেশি হওয়া স্বত্বেও অনেক দেশই যত দ্রুত অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ শিথিল করেছে তত দ্রুত আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলছে না।
মহামারির শুরুর দিকেই এশিয়ার ৯৯ শতাংশ দেশে ভ্রমণকারীদের জন্য দুয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপিটিটিভনেস ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী, মহামারির আগে এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো প্রতি বছর ২৯ কোটির বেশি মানুষকে স্বাগত জানিয়েছে। এতে অর্থনীতিতে ৮৭৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি যুক্ত হয়েছে।
মতামত দিন