হাতে গ্লিসারিন দিয়েও মিলছে না আঙ্গুলের ছাপ
ময়মনসিংহের ভালুকা ও ফুলপুর উপজেলায় চলছে ৬ষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। সকাল ৯টা থেকে থেকে শুরু হয়ে এই দুই উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই দুই উপজেলায় ইভিএম মেশিনে ভোট হলে আঙ্গুলের ছাপ না মেলার অভিযোগ করছেন ভোটাররা।
জেলার ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ৭১নং শালজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ইভিএম মেশিনে প্রথমবার ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভোটাররা। ভোটাররা প্রতি ভোটে সময় নিচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ভোটারদের সঙ্গে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী অফিসাররা। আবার অনেক এজেন্টকেও গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। আবার অনেকে হাতে গ্লিসারিন মেখেও আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় ভোট না দিয়েই ফিরে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে তরুণরা ইভিএম মেশিনে ভোট দিয়ে খুশি।
রহিমা খাতুন নামে আরও এক বৃদ্ধা বলেন, তিনবার ভোট দিতে গেছি। কিন্তু একবারও আঙুলের ছাপ মেলেনি। এখন হাতে গ্লিসারিন দিছি। তারপরেও যদি আঙুলের ছাপ না মেলে ভোট না দিয়েই বাড়িতে চলে যাব।
এ বিষয়ে চকপাড়া গ্রামের হাওয়া বেগম বলেন, ভোট দিতে কক্ষে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর মেলেনি। যে কারণে ভোট দিতে পারিনি। এখন বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। বিকেলে আবারও ভোট দিতে আসব।
শালজান বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নাজমুল আলম বলেন, ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য মোকভোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তারপরও বয়ষ্করা ভোট দিতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই বয়স্কদের সঙ্গে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট কিভাবে দিতে হয় দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে কারও ভোট দিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে ফুলপুর উপজেলায় ১০ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪১৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬২ জন। আর ভালুকার ১১ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১১ ইউপিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪২ জন।
মতামত দিন